গ্রামের ব্যাকরণ হলো কোনো ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার, গঠন ও নিয়মাবলির সমষ্টি। এটি ভাষার সঠিক রূপ, শব্দ গঠন, বাক্য রচনা ও অর্থ প্রকাশের নিয়ম শেখায়।

rasel miah
2


 "ব্যাকরণের প্রকৃতি" বা Grammar-er Prokriti আলোচনা করতে গেলে মূলত ব্যাকরণ কী, কেন প্রয়োজন এবং এর মৌলিক দিকগুলো বোঝা জরুরি। নিচে বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলোঃ

ব্যাকরণের সংজ্ঞা

ব্যাকরণ হলো কোনো ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার, গঠন ও নিয়মাবলির সমষ্টি। এটি ভাষার সঠিক রূপ, শব্দ গঠন, বাক্য রচনা ও অর্থ প্রকাশের নিয়ম শেখায়।


ব্যাকরণের প্রকৃতি

  1. নিয়মনিষ্ঠ প্রকৃতি

    • ব্যাকরণ ভাষার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম তৈরি করে।

    • যেমন: ক্রিয়ার কাল, লিঙ্গ, কারক, বিভক্তি ইত্যাদি।

  2. শিক্ষণীয় প্রকৃতি

    • ব্যাকরণ শেখার মাধ্যমে ভাষা শুদ্ধভাবে বলা, লেখা ও বোঝা যায়।

    • ভুল এড়ানো ও সঠিক প্রয়োগ সম্ভব হয়।

  3. সংগঠিত প্রকৃতি

    • ভাষার প্রত্যেকটি অঙ্গ যেমন ধ্বনি, শব্দ, পদ, বাক্য—সবকিছু ব্যাকরণের আওতায় সংগঠিত হয়।

  4. সর্বজনীন প্রকৃতি

    • প্রতিটি ভাষারই আলাদা ব্যাকরণ আছে, কিন্তু সব ভাষায় ব্যাকরণের মূল উদ্দেশ্য এক—ভাষাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা।

  5. বৈজ্ঞানিক প্রকৃতি

    • ব্যাকরণ কেবল নিয়ম নয়, এটি গবেষণা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে গড়ে ওঠে।

    • ভাষাবিজ্ঞানীরা ধ্বনি, শব্দ, বাক্য বিশ্লেষণ করে এর নিয়ম নির্ধারণ করেন।


ব্যাকরণের প্রধান অংশ

  1. ধ্বনিতত্ত্ব → শব্দের ধ্বনি বা উচ্চারণ।

  2. রূপতত্ত্ব → শব্দের গঠন ও রূপ পরিবর্তন।

  3. বাক্যতত্ত্ব → বাক্যের গঠন ও বিন্যাস।

  4. অর্থতত্ত্ব → শব্দ ও বাক্যের অর্থ।


সংক্ষেপে বলা যায়:
ব্যাকরণ হলো ভাষার হাড়-গোড়ের কাঠামো। এর প্রকৃতি নিয়মমাফিক, শিক্ষণীয়, সংগঠিত ও বৈজ্ঞানিক।



Post a Comment

2Comments

Post a Comment