"ব্যাকরণের প্রকৃতি" বা Grammar-er Prokriti আলোচনা করতে গেলে মূলত ব্যাকরণ কী, কেন প্রয়োজন এবং এর মৌলিক দিকগুলো বোঝা জরুরি। নিচে বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলোঃ
ব্যাকরণের সংজ্ঞা
ব্যাকরণ হলো কোনো ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার, গঠন ও নিয়মাবলির সমষ্টি। এটি ভাষার সঠিক রূপ, শব্দ গঠন, বাক্য রচনা ও অর্থ প্রকাশের নিয়ম শেখায়।
ব্যাকরণের প্রকৃতি
-
নিয়মনিষ্ঠ প্রকৃতি
-
ব্যাকরণ ভাষার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম তৈরি করে।
-
যেমন: ক্রিয়ার কাল, লিঙ্গ, কারক, বিভক্তি ইত্যাদি।
-
-
শিক্ষণীয় প্রকৃতি
-
ব্যাকরণ শেখার মাধ্যমে ভাষা শুদ্ধভাবে বলা, লেখা ও বোঝা যায়।
-
ভুল এড়ানো ও সঠিক প্রয়োগ সম্ভব হয়।
-
-
সংগঠিত প্রকৃতি
-
ভাষার প্রত্যেকটি অঙ্গ যেমন ধ্বনি, শব্দ, পদ, বাক্য—সবকিছু ব্যাকরণের আওতায় সংগঠিত হয়।
-
-
সর্বজনীন প্রকৃতি
-
প্রতিটি ভাষারই আলাদা ব্যাকরণ আছে, কিন্তু সব ভাষায় ব্যাকরণের মূল উদ্দেশ্য এক—ভাষাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা।
-
-
বৈজ্ঞানিক প্রকৃতি
-
ব্যাকরণ কেবল নিয়ম নয়, এটি গবেষণা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে গড়ে ওঠে।
-
ভাষাবিজ্ঞানীরা ধ্বনি, শব্দ, বাক্য বিশ্লেষণ করে এর নিয়ম নির্ধারণ করেন।
-
ব্যাকরণের প্রধান অংশ
-
ধ্বনিতত্ত্ব → শব্দের ধ্বনি বা উচ্চারণ।
-
রূপতত্ত্ব → শব্দের গঠন ও রূপ পরিবর্তন।
-
বাক্যতত্ত্ব → বাক্যের গঠন ও বিন্যাস।
-
অর্থতত্ত্ব → শব্দ ও বাক্যের অর্থ।
✅ সংক্ষেপে বলা যায়:
ব্যাকরণ হলো ভাষার হাড়-গোড়ের কাঠামো। এর প্রকৃতি নিয়মমাফিক, শিক্ষণীয়, সংগঠিত ও বৈজ্ঞানিক।
অনেক সুন্দর
ReplyDeleteনাইস
ReplyDelete